ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): আজ রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু এ্যাভেনিউয়ে দলের ঢাকা দক্ষিণ শাখা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বাস্তবতা হচ্ছে এ দেশে জিয়াউর রহমানই প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেন এবং বেগম জিয়া এটাকে চরম পর্যায়ে নিয়ে যান।
হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের হত্যাকান্ডের দিনে বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯২ সাল থেকে ১৫ আগস্টে তার জন্মদিন পালন করছেন। কেবল প্রতিসিংসার কারণে তিনি তার জন্মদিন পরিবর্তন করেছেন। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এবং তার ছেলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে তদানীন্তন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যা ও আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এ্যাভেনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন শাহ এ এম এস কিবরিয়া ও আহসানুল্লাহ মাস্টারসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতৃবৃন্দ বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন, কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিএনপির ওপর হামলার এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনাগুলেঅই প্রমাণ করে বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এজন্য তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। সোহরাওয়ার্দীকে ‘গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন’ আখ্যায়িত করে রাজনীতিতে তার অবদানের কথা স্মরণ করে হাছান বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্জনে তার নাম যুক্ত রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাঙালি জাতিকে উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছিলেন। আর তাঁর কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করছেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সারাহ্ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, সংগীত শিল্পী রফিকুল আলম এবং অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস।
Leave a Reply